১. ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’ কার রচনা?

ব্যাখ্যা: বিশিষ্ট ভাষাবিদ, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫ – ১৯৬৯ খ্রি.) ‘বাংলা ভাষার ইতিবৃ্ত্ত’ (১৯৬৫), ‘ভাষা ও সাহিত্য (১৯৩১) এবং ‘বাংলা ব্যাকরণ’ (১৯৬৫) ভাষাতত্ত্ব বিষয়ক গ্রন্থ রচনা করেন।

২. ‘প্রভাবতী সম্ভাষণ’ কার রচনা?

ব্যাখ্যা: লেখক, সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষাবিদ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের (১৮২০-১৮৯১ খ্রি) একটি মৌলিক গ্রন্থ ‘প্রভাবতী সম্ভাষণ’। তার রচিত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘বেতালপঞ্চবিংশতি’ (হিন্দি বৈতালপচ্চীসীর বঙ্গানুবাদ), ‘শকুন্তলা’ (কালিদাসের ‘অভিজ্ঞানশকুন্তলম’ নাটকের উপাখ্যান ভাগের বঙ্গানুবাদ), ‘ভ্রান্তিবিলাস’ (শেক্সপীয়রের ‘Comedy of Errors’ এর বঙ্গানুবাদ) ইত্যাদি।

৩. ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ কার রচনা?

ব্যাখ্যা: বাংলা সাহিত্যে প্রথম সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা লেখেন কবি ও নাট্যকার মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩ খ্রি.)। তার রচিত সনেটসমূহ ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ (১৮৬৬) তে সংকলিত। প্রশ্নে উল্লিখিত অন্য কবি- সাহিত্যিকগণ সনেট রচনা করেননি।

৪. কোনটি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গ্রন্থ?

ব্যাখ্যা:
গ্রন্থ — রচয়িতা
বিষের বাঁশি — কাজী নজরুল ইসলাম
বন্দীর বন্ধনা — বুদ্ধদেব বসু
সন্দ্বীপের চর — বিষ্ণু দে
রূপসী বাংলা — জীবনান্দ দাশ

৫. ‘কবর’ নাটক কার রচনা?

ব্যাখ্যা: রণেশ দাশগুপ্তের অনুরোধে মুনীর চৌধুরী ১৯৫৩ সালে ঢাকা জেলখানায় ‘কবর’ নাটকটি রচনা করেন। মুনীর চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য নাটক- রক্তাক্ত প্রান্তর, চিঠি, মানুষ, দণ্ডকারণ্য।

৬. ‘চাঁদের হাট’ অর্থ কী?

ব্যাখ্যা: চাঁদের হাট’ একটি বাগধারা, যার অর্থ ধনে জনে পরিপূর্ণ সুখের ‘সংসার’ আনন্দের প্রাচুর্য।

৭. কোন বানানটি শুদ্ধ?

ব্যাখ্যা: শুদ্ধ বানান ‘শুচিস্মিতা’, যার অর্থ মৃদু ও নির্মল হাসিযুক্ত। যে নারীর হাসি সুন্দর।

৮. ‘কর্মে যাহার ক্লান্তি নাই’ এই বাক্যাংশের সংক্ষিপ্ত রূপ কি?

ব্যাখ্যা: কর্মে যাহার ক্লান্তি নেই- অক্লান্তকর্মী, ক্লান্তি নেই যার- অক্লান্ত।

৯. ণ-ত্ব বিধি সাধারণত কোন শব্দে প্রযোজ্য?

ব্যাখ্যা: যে বিধান বা নিয়ম অনুসরণে তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে ‘ণ’ (মূর্ধন্য-ণ) ও ‘ন’ (দন্ত্য-ন) এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় তাকে ণত্ব বিধান বলে। উল্লেখ্য, খাঁটি বাংলা ও বিদেশী শব্দে মূর্ধন্য-ণ হয় না। যেমন: কান, সোনা, কুরআন, গভর্নর, ইরান ইত্যাদি।

১০. ক্রিয়াপদ–

ব্যাখ্যা: যে পদ দ্বারা কোনো কার্য সম্পাদন বুঝায় তাই ক্রিয়াপদ। সাধারণত বাক্যে ক্রিয়াপদ থাকে। তবে কখনো কখনো সময় বাক্যে ক্রিয়াপদ উহ্য থাকে। যেমন: ফুলটি সুন্দর। এ বাক্যে ‘হয়’ ক্রিয়াপদ উহ্য রয়েছে।

১১. কোনটি অনুজ্ঞা?

ব্যাখ্যা: কিছু করার আদেশ, উপদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, আশীর্বাদ, প্রার্থনা-কামনা, অনুমতি ইত্যাদি বোঝাতে ক্রিয়ার যে বিশেষ রীতি ব্যবহৃত হয় তাকে অনুজ্ঞা (ভাব) বলা হয়। যেমন: বর্তমান কালে: কলমটি দাও। ভবিষ্যৎ কালে: কাল দেখা হবে ইত্যাদি। সুতরাং ‘তুমি যাও’ একটি অনুজ্ঞা।

১২. ‘যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা’- এখানে ‘মুখ’ বলতে কী বোঝাচ্ছে?

ব্যাখ্যা: যে ভাষায় শব্দভাণ্ডার যত সমৃদ্ধ এবং যত বেশি অর্থবৈচিত্র্যে ঋদ্ধ সেই ভাষা তত উন্নত বলে স্বীকৃত। বাংলা একটি সমৃদ্ধ ভাষা হওয়ায় এ ভাষায় বানান ও উচ্চারণগত অভিন্নতা সত্ত্বে ও একই শব্দ বাক্যের মধ্যে বিভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে থাকে। উপরিউক্ত প্রশ্নে ‘মুখ’ দ্বারা এখানে স্পষ্টতই শক্তি বুঝানো হয়েছে।

১৩. কোন বানানটি শুদ্ধ?

ব্যাখ্যা: শুদ্ধ বানান ‘মুমূর্ষু’ শব্দটির অর্থ মরণাপন্ন বা মরণোন্মুখ (মুমূর্ষু অবস্থা)।

১৪. ‘বিরাগী’ শব্দের অর্থ কী?

ব্যাখ্যা: ‘বিরাগী’ একটি পুরুষবাচক শব্দ, যার অর্থ বিরাগযুক্ত, উদাসীন, নিস্পৃহ বা বিরক্ত। ‘বিরাগী’ শব্দটির স্ত্রীবাচক রূপ হলো ‘বিরাগিনী’।

১৫. ‘ব্রজবুলি’ বলতে কী বোঝায়?

ব্যাখ্যা: ‘ব্রজবুলি’ হলো মৈথিলী ও বাংলা ভাষার মিশ্রণে গঠিত এক প্রকার কৃত্রিম কবিভাষা। এই ভাষায় বৈষ্ণব পদ রচনা করেছেন অনেক কবি, যাদের মধ্যে গোবিন্দদাস, বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস ও জ্ঞানদাস অন্যতম। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও ব্রজবুলি ভাষায় ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ নামে কাব্য রচনা করেন।

১৬. ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’- কে বলেছেন?

ব্যাখ্যা: এই অমর উক্তিটি করেছেন মধ্যযুগের প্রখ্যাত কবি বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচিয়তা চণ্ডীদাস। উল্লেখ্য, পদাবলীতে ভিন্ন ভিন্ন চণ্ডীদাসের নাম (চণ্ডীদাস দ্বিজ, চণ্ডীদাস দীন, চণ্ডীদাস আদি ইত্যাদি।) জানা যায়। তবে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, চণ্ডীদাস তিনজন- বড়ু চণ্ডীদাস, দ্বিজ চণ্ডীদাস এবং দীন চণ্ডীদাস। যাদের মধ্যে বড়ু চণ্ডীদাস শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের রচয়িতা এবং দ্বিজ ও দীন পদাবলীর কবি।

১৭. কোনটি রবীন্দ্রনাথের রচনা?

ব্যাখ্যা: ‘চতুরঙ্গ’ রবীন্দ্রনাথ রচিত উপন্যাস। তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- চোখের বালি, যোগাযোগ, ঘরে বাইরে, মালঞ্চ, শেষের কবিতা।

১৮. কোনটি কাব্যগ্রন্থ?

ব্যাখ্যা: নাগরিক কবি সমর সেন (১৯১৬-১৯৮৭ খ্রি.) রচিত ‘কয়েকটি কবিতা’ (১৯৩৭)। একটি কাব্যগ্রন্থ।

১৯. কোনটি নাটক?

ব্যাখ্যা:
গ্রন্থ — গ্রন্থের ধরন
কর্তার ইচ্ছায় কর্ম — প্রবন্ধ
গড্ডলিকা — গল্পগ্রন্থ
পল্লীসমাজ — উপন্যাস
সাজাহান — নাটক

২০. ‘আবোল-তাবোল’ কার লেখা?

ব্যাখ্যা: সুকুমার রায়ের বিখ্যাত শিশুতোষ গ্রন্থ ‘আবোল-তাবোল’ এবং ‘হ-য-ব-র-ল’।

১. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক প্রথম উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ কার রচনা?

ব্যাখ্যা: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক দীনেশচন্দ্র সেন (১৮৬৬-১৯৩৯ খ্রি.) কর্তৃক রচিত ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ গ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম যথার্থ ইতিহাস গ্রন্থ। ‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’ ও ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ সম্পাদনা তার বঙ্গ-সংস্কৃতি সেবার আর এক শ্রেষ্ঠ নিদর্শন।

২. ‘ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ’ কে রচনা করেন?

ব্যাখ্যা: ”ভাষা প্রকাশ বাংলা ব্যাকরণ” সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় রচনা করেন। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (জন্ম : ২৬শে নভেম্বর, ১৮৯০— মৃত্যু : ২৯শে মে, ১৯৭৭) একজন বাঙালি ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।

৩. ‘পদাবলী’র প্রথম কবি কে?

ব্যাখ্যা: বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচয়িতা কবি চণ্ডীদাস (আনুমানিক ১৩৭০-১৪৩৩ খ্রি.)। মিথিলার কবি বিদ্যাপতি (১৩৮০-১৪৬০ খ্রি.; মতান্তরে ১৩৯০-১৪৯০খ্রি.) ছিলেন বাঙালি বৈষ্ণবের গুরুস্থানীয়, বাঙালির শ্রদ্ধেয় কবি, বৈষ্ণব সহজিয়া সাধকদের নবরসিকের অন্যতম। চৈতন্যপরবর্তী কবি জ্ঞানদাস ছিলেন আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীর কবি এবং চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য।

৪. দোভাষী পুঁথি বলতে কি বোঝায়?

ব্যাখ্যা: ‘দোভাষী পুঁথি’ শুধু দুটি ভাষায় রচিত পুঁথি নয়। বাংলা, হিন্দি, ফারসি, আরবি, তুর্কি ইত্যাদি ভাষার সংমিশ্রণে রচিত পুঁথিই হলো ‘দোভাষী পুঁথি’।

৫. ‘সঞ্চয়িতা’ কোন কবির কাব্য সংকলন?

ব্যাখ্যা: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার সংকলন সঞ্চয়িতা। এ কাব্যগ্রন্থটি ১৯৩১ সালে প্রকাশিত হয়। এর কবিতাগুলো কালানুক্রমে সজ্জিত। প্রথমে সন্ধ্যাসংগীত কাব্যগ্রন্থ থেকে পড়ে শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থের কবিতা এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি রবীন্দ্রনাথের অত্যাধিক জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ।

৬. রবীন্দ্রনাথের কোন গ্রন্থটি নাটক?

ব্যাখ্যা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো- ‘চিত্রাঙ্গদা’ (১২৯৯), ‘প্রায়শ্চিত্ত’ (১৯০৯), ‘রাজা’ (১৯১০), ‘অচলায়তন’ (১৯১১), ‘ডাকঘর’ (১৯১২), ‘রক্তকরবী’ (১৯২৪), ‘তাসের দেশ’ (১৯৩৩), ‘চণ্ডালিকা’ (১৯৩৩) ইত্যাদি।

৭. কোন কবিতা রচনার কারণে নজরুল ইসলামের কারাদণ্ড হয়েছিল?

ব্যাখ্যা: ব্যাখ্যা: ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতা রচনার জন্য তিনি এক বছরের জন্য কারারুদ্ধ হন। এছাড়া ‘প্রলয় শিখা’র জন্যও তিনি ছয় মাস কারারুদ্ধ হন।

৮. কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত লেখা কোনটি?

ব্যাখ্যা: কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত লেখা (গল্প) ‘বাউণ্ডেলের আত্মকাহিনী’ মাসিক ‘সওগাত’ পত্রিকায় ১৩২৬ বঙ্গাব্দের (১৯১৯ খ্রি.) জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়। তার রচিত প্রথম কবিতা ‘মুক্তি’ প্রথম প্রকাশিত হয় বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা’র শ্রাবণ সংখ্যায় ১৩২৬ বঙ্গা

৯. ‘সওগাত’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?

ব্যাখ্যা: মাসিক সওগাত (১৯১৮) , সাপ্তাহিক সওগাত (১৯২৮) উভয় পত্রিকাই মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।

১০. ‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্যগ্রন্থটির কবি কে?

ব্যাখ্যা: চল্লিশের দশকে আবির্ভূত শক্তিমান কবিদের অন্যতম ফররুখ আহমদের (১৯১৮-১৯৭৪ খ্রি.) প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাত সাগরের মাঝি’ প্রকাশিত হয় ১৯৪৪ সালে। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে ‘সিরাজাম মুনীরা’ (১৯৫২), ‘নৌফেল ও হাতেম’ (কাব্যনাট্য, ১৯৬১), ‘মুহূর্তের কবিতা’ (সনেট সংকলন, ১৯৬৩), ‘হাতেমতায়ী’ (কাহিনী কাব্য, ১৯৬৬) ইত্যাদি।

১১. ‘পথের দাবি’ উপন্যাসের রচয়িতা কে?

ব্যাখ্যা: পথের দাবী বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগের অন্যতম বাঙ্গালী কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক বিরচিত একটি জনপ্রিয় উপন্যাস। এ উপন্যাসটি ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাসে সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।

১২. অপলাপ শব্দের অর্থ কি?

ব্যাখ্যা: ‘অপলাপ’ শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত, যার শাব্দিক অর্থ সত্য অস্বীকার, গোপন বা মিথ্যা উক্তি।

১৩. পদ বা পদাবলী বলতে কি বুঝায়?

ব্যাখ্যা: পদ বা পদাবলী বলতে সাধারণত শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীচৈতন্যের লীলাকথা নিয়ে গান করার জন্য রচিত কমনীয় কবিতাকে বুঝায়। দ্বাদশ শতকে জয়দেব ‘গীতগোবিন্দ’ কাব্যে ‘পদাবলী’ শব্দটি ব্যবহার করেন। এটি একাধারে সাহিত্য ও সাধানার অবলম্বন। উপনিষদে যে ব্রাহ্মকে রসস্বরূপ বলা হয়েছে এবং প্রিয়রূপে উপাসনা করতে উপদেশ দেয়া হয়েছে, সেই অনন্তরসের আধার শ্রীকৃষ্ণকে আস্বাদন করার ও করানোর জন্য পদাবলী রচিত হয়েছে। উল্লেখ্যযোগ্য পদাবলী সংকলনের মধ্যে সপ্তদশ শতকের শেষভাগে বিশ্বনাথ চক্রবর্তী সংকলিত ‘ক্ষণদাগীতচিন্তামনি’ কে প্রাচীনতম বলে মনে করা হয়। পদাবলীর বৃহত্তম ও অধিক প্রচারিত সংকলন বৈষ্ণবদাস ওরফে গোকুলানন্দ সেনের ‘পদকল্পগুরু’ (৩১০১টি পদ)।

১৪. বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (আধুনিক) কারা রচনা করেন?

ব্যাখ্যা: শিক্ষাবিদ, ধ্বনিতাত্ত্বিক ও সাহিত্যিক মুহম্মদ আব্দুল হাই (১৯১৯-১৯৬৯ খ্রি.) এবং শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক সৈয়দ আলী আহসান (১৯২২-২০০২ খ্রি.) যুগ্মভাবে ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’ (আধুনিক) গবেষণা গ্রন্থটি রচনা করেন।

১৫. কোনটি ঠিক?

ব্যাখ্যা: ‘পথের দাবী’ ১৯২৬ সালে প্রকাশিত কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পটভূমিতে রচিত উপন্যাস। ‘গোরা’ ১৯১০ সালে প্রকাশিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাস। ‘বিদ্রোহী’ ১৯২১ সালে সাপ্তাহিক ‘বিজলী’র ২২ পৌষ (১৩২৮) সংখ্যায় প্রকাশিত কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা, যার রচনা তাকে ‘বিদ্রোহী’ খ্যাতি এনে দেয়। ‘একাত্তরের দিনগুলো’ শহীদ জননী জাহানারা ইমামের (১৯২৯-১৯৯৪ খ্রি.) ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের ওপর স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ।

১৬. কোনটি হযরত মুহম্মদ (স) এর জীবনী গ্রন্থ?

ব্যাখ্যা: হযরত মুহাম্মদ (সা) এর জীবনী নিয়ে লিখিত ‘মরু ভাঙ্কর’ (১৯৪১) গ্রন্থটি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী (১৮৯৬-১৯৫৪ খ্রি.) রচনা করেন। অন্যদিকে ‘মরুমায়া’ (১৯৩০) কাব্যগ্রন্থটি কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত (১৮৮৭-১৯৫৪ খ্রি) রচনা করেন।

১৭. পদাবলী লিখেছেন —

ব্যাখ্যা: রাধা-কৃষ্ণের জীবন অবলম্বন করে যে ধারাটি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে সেটা হলো পদাবলী বা পদাবলী কাব্য। প্রশ্নে উল্লিখিত চারজনের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই পদাবলী রচনা করেছেন। যার নাম ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’, যা তিনি ব্রজবুলি ভাষায় রচনা করেন। বৈষ্ণব পদাবলীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তিনি এটি রচনা করেন। পদাবলীর প্রধান কবিদের মধ্যে রয়েছেন- বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস প্রমুখ।

১৮. ‘বাংলা একাডেমী সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান’ এর সম্পাদক কে?

ব্যাখ্যা: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আহমদ শরীফ (১৯২১-১৯৯৯) ‘বাংলা একাডেমী সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান’ সম্পাদনা করেন, যা ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়। অন্যদিকে ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি.) সম্পাদনা করেন ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ (দুই খণ্ড)।

১৯. ‘ভিক্ষুকটা যে পিছনে লেগেই রয়েছে, কী বিপদ!’ এই বাক্যের ‘কী’ এর অর্থ —

ব্যাখ্যা: এরূপ ক্ষেত্রে বাক্যের ভাব বুঝেই ‘কী’ এর অর্থ নিরূপণ করতে হবে। সে হিসেবে এর অর্থ ‘ভয়’, ‘রাগ’ বা ‘বিপদ’ নয়, অবশ্যই ‘বিরক্ত’।

২০. ‘ঢাকের কাঠি’ বাগধারার অর্থ —

ব্যাখ্যা:


১. চাঁদ সওদাগর বাংলা কোন কাব্যধারার চরিত্র?

ব্যাখ্যা: ‘চাঁদ সওদাগর’ বাংলা মনসামঙ্গল কাব্যধারার চরিত্র। মনসামঙ্গল বা পদ্মাপু্রাণ মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের মঙ্গলকাব্য ধারার অন্যতম প্রধান কাব্য। এই ধারার অপর দুই প্রধান কাব্য চণ্ডীমঙ্গল ও ধর্মমঙ্গল কাব্যের তুলনায় মনসামঙ্গল প্রাচীনতর।

২. ‘ইউসুফ-জোলেখা’ প্রণয়কাব্য অনুবাদ করেছে —

ব্যাখ্যা: মধ্যযুগের বাংলা প্রণয়োপাখ্যানগুলোর অন্যতম ‘ইউসুফ-জোলেখা’র কাহিনি। ইউসুফ-জোলেখার যেসব পুঁথি পাওয়া গেছে তার মধ্যে কবি শাহ মুহম্মদ সগীর প্রণীত ‘ইউসুফ-জোলেখা’ অন্যতম।

৩. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘ভ্রান্তিবিলাস’ কোন নাটকের গদ্য অনুবাদ?

ব্যাখ্যা: ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়র (১৫৬৪-১৬১৬ খ্রি.) রচিত প্রথম নাটক ‘দ্য কমেডি অব এররস’ (১৫৯২-৯৩) অবলম্বনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১ খ্রি.) ‘ভ্রান্তিবিলাস’ রচনা করেন। ১৮৬৯ সালে তিনি শেক্সপিয়রের এ নাটকটির বঙ্গানুবাদ করেন।

৪. কখনো উপন্যাস লেখেননি —

ব্যাখ্যা: সুধীন্দ্রনাথ দত্ত (১৯০১-১৯৬০ খ্রি.) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একজন বিখ্যাত কবি। তিনি অনেক কবিতা ও গদ্য রচনা করলেও কোনো উপন্যাস রচনা করেননি।

৫. ‘দুধেভাতে উৎপাত’ গল্পগ্রন্থের রচয়িতা —

ব্যাখ্যা: ‘দুধেভাতে উৎপাত’ গল্পগ্রন্হটি বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩-১৯৯৭ খ্রি.) কর্তৃক রচিত। ১৯৮৫ সালে এটি প্রকাশিত হয়। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭), খোয়াবনামা (১৯৯৬) ইত্যাদি।

৬. রোহিনী-বিনোদিনী-কিরণময়ী কোন গ্রন্থগুচ্ছের চরিত্র?

ব্যাখ্যা: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ এর প্রধান চরিত্রগুলো হলো ভ্রমর, রোহিণী, হরলাল ও গোবিন্দলাল; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘চোখের বালি’র প্রধান চরিত্রগুলো হলো মহেন্দ্র ও বিনোদিনী; শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘চরিত্রহীন’ এর প্রধান চরিত্রগুলো হলো সতীশ, সাবেত্রী, কিরণময়ী ও দিবাকর।

৭. ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে’-এ প্রার্থনাটি করেছে —

ব্যাখ্যা: অষ্টাদশ শতকের শ্রেষ্ঠ কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর (আনুমানিক ১৭০৭-১৭৬০ খ্রি.) রচিত ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যে ঈশ্বরী পাটনী, হীরা মালিনী প্রভৃতি চরিত্র একান্ত বাস্তব হয়ে ফুটে উঠেছে। আলোচ্য উক্তিটির মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের অমর চরিত্র ঈশ্বরী পাটনী অন্নদা (চণ্ডী) দেবীর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন।

৮. ‘হ্ম’ এর বিশ্লিষ্ট রূপ —

ব্যাখ্যা: দুই বা তার চেয়ে বেশি ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে কোনো স্বরধ্বনি না থাকলে সে ব্যঞ্জনধ্বনি দুটি বা ধ্বনি কয়টি একত্রে উচ্চারিত হয়। এরূপ যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির দ্যোতনার জন্য দুটি বা অধিক ব্যঞ্জনবর্ণ একত্রিত হয়ে সংযুক্ত বর্ণ (Ligature) গঠিত হয়। ‘হ্ম’ এখানে এরূপ একটি সংযুক্ত বর্ণ। কারণ, হ্ + ম = হ্ম। উল্লেখ্য, ক্ + ষ = ক্ষ, ক্ + ষ + ণ = ক্ষ্ণ এবং ক্ + ষ + ম= ক্ষ্ম।

৯. নারীকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে —

ব্যাখ্যা:নারীদের ক্ষেত্রে কল্যাণীয়াষু, কল্যাণবরেষু, পরম কল্যাণীয়াষু; বন্ধু-বান্ধবদের ক্ষেত্রে সুহৃদবরেষু, প্রিয়, প্রিয়বরেষু, প্রিয়বন্ধুবরেষু, প্রীতিভাজনেষু, সুচরিতেষু, সুচরিতাষু ইত্যাদি এবং গুরুজনদের ক্ষেত্রে শ্রদ্ধাভাজনেষু, শ্রদ্ধাস্পদেষু (পুং), শ্রদ্ধাস্পদাষু (স্ত্রী) ইত্যাদি।

১০. ‘পেয়ারা’ কোনভাষা থেকে আগত শব্দ?

ব্যাখ্যা: প্রশ্নে উল্লিখিত ‘পেয়ারা’ শব্দটি পর্তুগীজ ভাষা থেকে এসেছে। পর্তুগীজ ভাষা থেকে আগত এরূপ আরো কিছু শব্দ হলো আনারস, আলপিন, আলমারি, গির্জা, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, বালতি, তোয়ালে, সাবান, বারান্দা।

১১. সমার্থক শব্দগুচ্ছ শনাক্ত করুন —

ব্যাখ্যা: কোনো শব্দের সম অর্থপূর্ণ অন্য শব্দেই হলো প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ। এরূপ ‘নদী’র সমার্থক শব্দ স্রোতস্বিনী, তটিনী, তরঙ্গিনী, প্রবাহিনী, শৈবালিনী, কল্লোলিনী, গাঙ, সরিৎ।

১২. শুদ্ধ বানানের শব্দগুচ্ছ শনাক্ত করুন —

ব্যাখ্যা: উল্লিখিত শব্দ গুলোর মধ্যে অশুদ্ধ শব্দের শুদ্ধ বানান ভবিষ্যত = ভবিষ্যৎ, ভৌগলিক = ভৌগোলিক এবং যক্ষ্মা যশলাভ = যশোলাভ, সদ্যোজাত এবং সম্বর্ধনা = সংবর্ধনা; স্বায়ত্তশাসন, অভ্যন্তর এবং জন্মবার্ষিক; ঐক্যতান = ঐকতান, কেবলমাত্র = কেবল/মাত্র এবং উপরোক্ত = উপযুক্ত।

১৩. ‘প্রাতরাশ’- এর সন্ধি —

ব্যাখ্যা: ‘প্রাতরাশ’ শব্দটির অর্থ প্রাতর্ভোজন বা সকালের নাশতা। সংস্কৃত ‘প্রাতঃ (=র)’ এর সাথে ‘আশ’ যুক্ত হয়ে প্রাতরাশ শব্দটি গঠিত।

১৪. যে পদে বাক্যের ক্রিয়াপদটির গুণ, প্রকৃতি, তীব্রতা ইত্যাদি প্রকৃতিগত অবস্থা বোঝায়, তাকে বলা হয় —

ব্যাখ্যা: ক্রিয়ার স্থান ,কাল ও কারণাদির বৈশিষ্ট্য বা প্রকৃতিগত অবস্থা যেসব শব্দ দ্বারা প্রকাশিত হয় তাদের ক্রিয়া – বিশেষণ বলে। যেমন – ধীরে যাও, সুন্দর গায় ইত্যাদি। যে বিশেষ্য ক্রিয়ার কোনো নাম বোঝায় তাকে ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন – খাওয়া, যাওয়া, গমন ইত্যাদি।

১৫. ‘রামগরুড়ের ছানা’ কথাটির অর্থ —

ব্যাখ্যা:

১৬. নিচের কোনটিতে বিরামচিহ্ন যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়নি?

ব্যাখ্যা: এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন হলো ‘কমা’ বা ‘পাদচ্ছেদ’ (,)। বাক্যে ‘কমা’ বসানোর বিভিন্ন নিয়মের মধ্যে একটি নিয়ম হলো মাসের তারিখ লিখতে বার ও মাসের পর ‘কমা’ বসাতে হয়। ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২।

১৭. ‘বামেতর’ শব্দটির অর্থ —

ব্যাখ্যা: ‘বামেতর’ অর্থ- ডান, ডাহিন, দক্ষিণ।

১৮. প্রথম বাংলা ‘থিসরাস’ বা সমার্থক শব্দের অভিধান সংকলন করেছেন —

ব্যাখ্যা: প্রথম বাংলা ‘থিসরাস’ বা সমার্থক শব্দের অভিধান সংকলন করেছেন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। তাঁর সংকলিত অভিধানের নাম “যথাশব্দ”। এটি ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়।

১৯. ‘নিরানব্বইয়ের ধাক্কা’ বাগধারাটির অর্থ —

ব্যাখ্যা: ‘নিরানব্বইয়ের ধাক্কা’ বাগধারাটির অর্থ টাকা জমানোর লোভ, অর্থাৎ সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি।

২০. যে সমাসের ব্যাসবাক্য হয় না, কিংবা তা করতে গেলে অন্য পদের সাহায্য নিতে হয়, তাকে বলা হয় —

ব্যাখ্যা: যে সমাসের পদগুলো নিত্য সমাসবাদ থাকে ব্যাসবাক্যের প্রয়োজন হয় না তাকে নিত্যসমাস বলে। যেমন: দুই এবং = বিরানব্বই, সে, তুমি ও আমি = আমরা।


১. ‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত’ কে রচনা করেন?

ব্যাখ্যা: বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত গ্রন্থের রচয়িতা – ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্। বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত – মুহম্মদ আবদুল হাই ও সৈয়দ আলী আহসান।

২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গ্রন্থটি উপন্যাস?

ব্যাখ্যা: (১৮৮৩), চোখের বালি (১৯০৩) , নৌকাডুবি (১৯০৬) , গোরা (১৯১০) , চতুরঙ্গ (১৯১৬), ঘরে বাইরে (১৯১৬) , যোগাযোগ (১৯২৯) , শেষের কবিতা (১৯২৯) ইত্যাদি।

৩. কাজী নজরুল ইসলামের নামের সাথে জড়িত ‘ধূমকেতু’ কোন ধরনের প্রকাশনা?

ব্যাখ্যা: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সান্ধ্য ‘দৈনিক নবযুগ’ (১৯২০) পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদক। তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় অর্ধ সাপ্তাহিক ‘ধূমকেতু’ (১৯২২)। এছাড়া তিনি ‘লাঙ্গল’ (১৯২৫) নামক সাপ্তাহিক পত্রিকাও সম্পাদনা করেছিলেন।

৪. জসীমউদ্দীনের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?

ব্যাখ্যা: জসীমউদ্দীনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ রাখালী। রাখালী বাংলাদেশের পল্লি কবি জসীমউদ্দীনের ১৯ টি কবিতা নিয়ে তৈরি একটি কবিতার বই। বইটি ১৯২৭ সালে পলাশ প্রকাশনী থেকে প্রকাশ পায়।

৫. ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ উপন্যাসের রচয়িতা কে?

ব্যাখ্যা: বিশিষ্ট কবি, কথাসাহিত্যিক , সমালোচক ও শিক্ষাবিদ আনোয়ার পাশা (১৯২৮ – ১৯৭১ খ্রি) রচিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপন্যাস হলো ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ (১৯৭৩) । তার রচিত অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে – ‘নীড় সন্ধানী’ (১৯৬৮) এবং ‘নিষুতি রাতের গাধা’ (১৯৬৯)।

৬. জঙ্গম-এর বিপরীতার্থক শব্দ কি?

ব্যাখ্যা: ‘জঙ্গম’ বিশেষণ পদটির অর্থ গতিশীল, শক্তিপূর্ণ, অস্থাবর, প্রাণবিশিষ্ট। সুতরাং এর বিপরীতার্থক শব্দ হলো স্থাবর।

৭. ‘উৎকর্ষতা’ কি কারণে অশুদ্ধ?

ব্যাখ্যা: ‘উৎকর্ষ’ একটি বিশেষ্য পদ, যার অর্থ শ্রেষ্ঠতা, উন্নতি, বৃদ্ধি, আধিক্য ইত্যাদি। কিন্তু এর বিশেষণ করতে ‘উৎকর্ষতা’ বললে তা অশুদ্ধ হবে। কারণ এর বিশেষণ হবে উৎকৃষ্টতা, যা দ্বারা বস্তুর, ভাবের বা রুচির উৎকর্ষ বোঝায়। সুতরাং এখানে ‘উৎকর্ষতা’ শব্দটি প্রত্যয়জনিত কারণে অশুদ্ধ।

৮. তুমি না বলেছিলে আগামীকাল আসবে? -এখানে ‘না’-এর ব্যবহার কি অর্থে?

ব্যাখ্যা: উপরিউক্ত বাক্যটি দেখতে প্রশ্নবোধক মনে হলেও বাক্যটির অন্তর্নিহিত ভাবটি আগামীকাল আসার কথা (বিবৃতি) বলা হয়েছে। তাই এটি হ্যাঁ-বাচক।

৯. কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস কোনটি?

ব্যাখ্যা: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ৩টি উপন্যাস হলো ‘বাঁধনহারা’ (১৯২৭), ‘মৃত্যুক্ষুধা’ (১৯৩০) এবং ‘কুহেলিকা’ (১৯৩১)। প্রশ্নে উল্লিখিত ‘আলেয়া’ (১৯৩১), ‘ঝিলিমিলি’ (১৯৩০) ও ‘মধুমালা’ (১৯৫৯) তার রচিত নাটক।

১০. ‘মা যে জননী কান্দে’ কোন ধরনের রচনা?

ব্যাখ্যা: পল্লীকবি জসীমউদ্দীন রচিত ‘মা যে জননী কান্দে’ কাব্য। এছাড়া কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে – রাখালী (১৯২৭) , নকশী কাঁথার মাঠ (১৯২৯) , বালুচর (১৯৩০) ,ধানক্ষেত (১৯৩১) ,সোজন বাদিয়ার ঘাট (১৯৩৩) ,হাসু (১৯৩৮) , মাটির কান্না (১৯৫১) ইত্যাদি।

১১. কোনটা ঠিক?

ব্যাখ্যা: ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ (১৯৩৩) হলো জসীমউদ্দীন রচিত কাহিনী কাব্য। ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ (১৯৬৮) ও ‘বহিপীর’ (১৯৬০) যথাক্রমে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত উপন্যাস ও নাটক । আর ‘মহাশ্মশান ‘ (১৯০৪) হলো কায়কোবাদ রচিত মহাকাব্য।

১২. ‘কার মাথায় হাত বুলিয়েছ’ এখানে ‘মাথা’ শব্দের অর্থ —

ব্যাখ্যা: উপরিউক্ত বাক্যে ‘মাথা’ শব্দটি ‘ফাঁকি দেয়া’ অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।

১৩. শরৎচন্দ্রের কোন উপন্যাসটি সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল?

ব্যাখ্যা: বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্রোপাধ্যায় (১৮৭৬ – ১৯৩৮ খ্রি) রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস ‘ পথের দাবী’ বিপ্লববাদীদের প্রতি রাজনৈতিক উপন্যাস ‘ পথের দাবী’ বিপ্লববাদীদের প্রতি সমর্থনের অভিযোগ ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়।

১৪. কোন গ্রন্থটির রচয়িতা এস ওয়াজেদ আলী?

ব্যাখ্যা: বিশিষ্ট সাহিত্যিক এস. ওয়াজেদ আলী (১৮৯০-১৯৫১ খ্রি) রচিত ‘ভবিষ্যতের বাঙালী’ (১৯৪৩) একটি প্রবন্ধ গ্রন্হ। তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্হের মধ্যে রয়েছে ‍মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ (প্রবন্ধ), গুলদাস্তা (১৯২৭), প্রাচ্য ও প্রতীচ্য (১৯৪৩) ইত্যাদি।

১৫. নিত্য মূর্ধন্য-ষ কোন শব্দে বর্তমান?

ব্যাখ্যা: সংস্কৃত ভাষায় আদিকাল থেকে কিছু শব্দে মূর্ধন্য-ষ চলে আসছে, এসব শব্দের বানানে নিত্য মূর্ধন্য-ষ হয়। সে হিসেবে ‘আষাঢ়’ শব্দটিতে নিত্য মূর্ধন্য-ষ বর্তমান।

১৬. ‘ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে’, বলেছেন —

ব্যাখ্যা: বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী (১৮৬৮-১৯৪৬ খ্রি) কর্তৃক উপরিউক্ত পঙ্‌ক্তি রচিত। প্রমথ চৌধুরী কর্তৃক আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পঙ্‌ক্তি হলো ‘সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত’।

১৭. ‘অক্ষির সমীপে’ -এর সংক্ষেপণ হলো —

ব্যাখ্যা: ‘অক্ষির সমীপে’ -এর সংক্ষেপণ হলো সমক্ষ। অন্যদিকে, ‘অক্ষির সম্মুখে’ হলো প্রত্যক্ষ, ‘অক্ষির অগোচরে’ হলো পরোক্ষ এবং ‘পক্ষপাতহীন বা মুখাপেক্ষী নয় এমন’ হলো নিরপেক্ষ।

১৮. উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য —

ব্যাখ্যা: যেসব অব্যয় শব্দ বা ধাতুর পূর্বে বসে মূল শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটায় ও নতুন শব্দ গঠন করে তাকে উপসর্গ বলে। যেমন বে + কার = বেকার; এখানে ‘ব’ উপসর্গ।
অন্যদিকে যেসব বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা শব্দের পরে বসে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে প্রত্যয় বলে। যেমন কাঁদ্‌ + অন = কাঁদন, এখানে ‘অন’ প্রত্যয়।

১৯. ‘তুমি এতক্ষণ কী করেছ’?-এই বাক্যে ‘কী’ কোন পদের?

ব্যাখ্যা: সর্বনাম হলো যা বিশেষ্যের পরিবর্তে বসে। যেমন-আমি, তুমি, সে, তাকে, আমার ইত্যাদি। সুতরাং উপরিউক্ত বাক্যে ‘তুমি’ ও ‘কী’ উভয়ই সর্বনাম।

২০. ‘আকাশে তো আমি রাখিনাই মোর উড়িবার ইতিহাস।’ – এই বাক্য ‘আকাশে’ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তির উদাহরণ?

ব্যাখ্যা: যে স্থানে বা যে কালে ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয় তাকে অধিকরণ কারক বলে। যেমন- নদীতে পানি আছে। সুতরাং উপরিউক্ত বাক্যে ‘আকাশে’ শব্দটি অধিকরণ কারক এবং এখানে ‘এ’ বিভক্তি থাকায় এটি সপ্তমী বিভক্তি।


১. বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ কে রচনা করেন?

ব্যাখ্যা: বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক দীনেশচন্দ্র সেন (১৮৬৬ – ১৯৩৯ খ্রি) ১৮৯৬ সালে ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ নামে প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের সুশৃঙ্খল ও তথ্যসমৃদ্ধ ধারাবাহিক ইতিহাসমূলক এ গ্রন্থটি রচনা করেন। আর এটিই বাংলা সাহিত্যের প্রথম যথার্থ ইতিহাস গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।

২. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন?

ব্যাখ্যা: ১৮৭২ সালে বাংলা উপন্যাসের জনক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪খ্রি) প্রথম ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকাটি প্রকাশ করেন এবং তিনিই এ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক।

৩. কোন কবিতা রচনার জন্য কাজী নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা’ কাব্য নিষিদ্ধ হয়?

ব্যাখ্যা: বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্হ ‘অগ্নিবীণা’তে প্রলয়োল্লাস, বিদ্রোহী এবং রক্তাম্বরধারিণী মা কবিতা তিনটি অন্তর্ভুক্ত। ধূমকেতুর ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২২ সংখ্যায় নজরুলের রাজনৈতিক কবিতা ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ প্রকাশ হলে ৮ নভেম্বর পত্রিকার ঐ সংখ্যা নিষিদ্ধ করা হয় এবং কবিতা রচনার জন্য ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ১ বছর কারাদণ্ড দণ্ডিত হন।

৪. ‘মৃন্ময়ী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন ছোটগল্পের নায়িকা?

ব্যাখ্যা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সমাপ্তি’ ছোটগল্পের নায়িকা ‘মৃন্ময়ী’ এবং নায়ক ‘অপূর্বকৃষ্ণ’। অন্যদিকে তার ‘দেনাপাওনা’ ছোটগল্পের নায়িকা ‘নিরু’, ‘পোস্টমাস্টার’ গল্পের বালিকা চরিত্র ‘রতন’ এবং ‘মধ্যবর্তিনী’ গল্পের নায়িকা ‘হরসুন্দরী’ ও ‘শৈলবালা’ এবং নায়ক ‘নিবারণ’।

৫. ‘উত্তম পুরুষ’ উপন্যাসের রচয়িতা কে?

ব্যাখ্যা: রশীদ করিমের একটি অন্যতম উপন্যাস হলো ‘উত্তম পুরুষ’। ১৯৬১ সালে প্রকাশিত এ উপন্যাসটি নগরজীবনের বৈশিষ্ট্য অবলম্বনে রচিত।

৬. ‘কাশবনের কন্যা’ কোন জাতীয় রচনা?

ব্যাখ্যা: ঔপন্যাসিক শামসুদ্দীন আবুল কালাম রচিত অন্যতম উপন্যাস ‘কাশবনের কন্যা’। এটি জেলে সম্প্রদায়ের জীবনভিত্তিক উপন্যাস। ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত (গ্রন্হাকারে) উপন্যাসটিতে বরিশাল অঞ্চলের মুখের ভাষা ও জীবনবোধ অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

৭. কোনটি মুহম্মদ এনামুল হকের রচনা?

ব্যাখ্যা: ‘মনীষা মঞ্জুষা’ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০৬-১৯৮২ খ্রি) রচিত এক সংকলন গ্রন্হ। দু খণ্ডের এ গ্রন্হের প্রথম খণ্ড ১৯৭৫ সালে এবং দ্বিতীয় খণ্ড ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত হয়।

৮. বাংলা সাহিত্যে সনেট রচনার প্রবর্তক কে?

ব্যাখ্যা: যে কবিতায় কবি হৃদয়ের একটিমাত্র ভাব বা অনুভূতি অখণ্ড থেকে চতুর্দশ অক্ষর ও চতুর্দশ চরণ দ্বারা একটি বিশেষ পদের মধ্য দিয়ে কবিতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ লাভ করে তাকে চতুর্দশপদী কবিতা বা সনেট বলে।

৯. জসীমউদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়?

ব্যাখ্যা: পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীনের (১৯৩০-১৯৭৬ খ্রি) একটি বিখ্যাত কবিতা ‘কবর’ প্রথম প্রকাশিত হয় ‘কল্লোল’ পত্রিকার ১৩৩২ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ সংখ্যায়। কবিতাটি তার প্রথম কাব্যগ্রন্হ ‘রাখালী’ (১৯২৭) তে অন্তর্ভুক্ত হয়।

১০. ‘ক্ষীয়মান’-এর বিপরীত শব্দ কি?

ব্যাখ্যা:
‘ক্ষীয়মান’ — বর্ধমান
‘বৃহৎ’ —- ক্ষুদ্র
‘বর্ধিষ্ণু’ — ক্ষয়িষ্ণু বা হ্রাসপ্রাপ্ত
‘বৃদ্ধিপ্রাপ্ত’ — হ্রাসপ্রাপ্ত

১১. ‘নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার’ এক কথায় হবে —

ব্যাখ্যা: ‘নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার’ — নশ্বর।

১২. যে সমাসের পূর্বপদ সংখ্যাবাচক এবং সমস্ত পদের দ্বারা সমাহার বোঝায় তাকে বলে?

ব্যাখ্যা: যে সমাসে সমাহার অর্থাৎ সমষ্টি অর্থে সংখ্যাবাচক পূর্বপদের সাথে উত্তরপদের সমাস হয় এবং উত্তরপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয় তাকে দ্বিগু সমাস বলে। যেমন – সে (তিন) তারের সমাহার = সেতার।

১৩. কোন বাক্যটি শুদ্ধ?

ব্যাখ্যা: ‘সংশয়’ শব্দটি একটি বিশেষ্যপদ, যার বিশেষণ হলো ‘সংশয়াপূর্ণ’। সংশয়াপূর্ণ শব্দটির অর্থ সন্দেহপূর্ণ বা দ্বিধাপূর্ণ। উপরিউক্ত বাক্যে ‘তাহার জীবন সংশয়াপূর্ণ’ দ্বারা গভীর অনিশ্চয়তা প্রকাশ করা হয়েছে।

১৪. ‘চাঁদমুখ’-এর ব্যাসবাক্য হলো —

ব্যাখ্যা:

১৫. ‘সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দিব কোথা’-এই বাক্যে ‘ঔষধ’ শব্দ কোন কারকে কোন বিভক্তির উদাহরণ?

ব্যাখ্যা: কর্তা যা করে বা যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাকে কর্মকারক বলে। সুতরাং প্রশ্নে ‘ঔষধ’কর্মকে কেন্দ্র করে দেয়া ক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ায় ‘ঔষধ’ শব্দটি কর্মকারক (শূন্য বিভক্তি)।

১৬. ‘যেহেতু তুমি বেশি নম্বর পেয়েছ, সুতরাং তুমি প্রথম হবে’ কোন ধরনের বাক্য?

ব্যাখ্যা: যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য ও তাকে আশ্রয় বা অবলম্বন করে এক বা একাধিক খণ্ডবাক্য থাকে, তাকে জটিল বা মিশ্র বাক্য বলে। জটিল বাক্যে একাধিক খণ্ডবাক্য থাকে। এদের মধ্যে একটি প্রধান থাকে, এবং অন্যগুলো সেই বাক্যের উপর নির্ভর করে।

১৭. ‘সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা’ রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যের কবিতা?

ব্যাখ্যা: প্রদত্ত পংক্তিটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১ খ্রি) ‘বলাকা’ কাব্যগ্রন্হের ‘বলাকা’ নামক কবিতার প্রথম পঙ্‌ক্তি। বলাকা কাব্যগ্রন্হটি প্রকাশিত হয় ১৯১৫ সালে।

১৮. বাংলা ছন্দ কত রকমের?

ব্যাখ্যা: বাংলাছন্দকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়-মাত্রাবৃত্ত ছন্দ (Moric Metre), স্বরবৃত্ত ছন্দ (Stressed Metre) এবং অক্ষরবৃত্ত ছন্দ (Mixed or composite Metre)।

১৯. কোনটি শুদ্ধ বানান?

ব্যাখ্যা: ‘দ্বন্দ্ব’ শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ, যার অর্থ ঝগড়া, বিবাদ, যুদ্ধ ইত্যাদি। শব্দটির বিশ্লেষণকৃত রূপ হলো – দ্বি+দ্বি।

২০. ‘অমিত্রাক্ষর’ ছন্দের বৈশিষ্ট্য হলো —

ব্যাখ্যা: ‘অমিত্রাক্ষর ছন্দ’ হলো অন্ত্যমিলনহীন এবং যতির বাধাধরা নিয়ম লঙ্ঘনকারী ছন্দবিশেষ। এর ইংরেজি পরিভাষা Blank verse। অমিত্রাক্ষরে ভাবের প্রবহমানতা নেই এবং ১৪ মাত্রার চরণ থাকে এবং চরণ শেষে অন্ত্যমিল থাকে না।

Your Score: