১. কোন গ্রন্থটি ঢাকা হতে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল?

ব্যাখ্যা: ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা গ্রন্থ দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটক। ১৮৬০ সালে প্রকাশিত নাটকটিতে বাংলাদেশের মেহেরপুর অঞ্চলের নীলকরদের অত্যাচার ও নীলচাষীদের দুঃখ-কষ্ট বর্ণিত হয়েছে।

২. ‘পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছ?’ কথাটি কার?

ব্যাখ্যা: চরণটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক উপন্যাস ‘কপালকুণ্ডলা’ থেকে সংগৃহীত। উপন্যাসের নায়িকা কপালকুণ্ডলা নায়ক নবকুমারকে উদ্দেশ্য করে কথাটি বলেছিল।

৩. প্রত্যয়গত ভাবে শুদ্ধ কোনটি?

ব্যাখ্যা:

৪. ‘অচিন’ শব্দের ‘অ’ উপসর্গটি কোন অর্থে ব্যবহৃত?

ব্যাখ্যা: ‘অচিন’ শব্দের ‘অ’ উপসর্গটি নঞর্থক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ‘অ’ উপসর্গটি অভাব অর্থে প্রকাশ পেয়েছে অচিন, অজানা, অথৈ শব্দগুলো।

৫. যা চিরস্থায়ী নয় —

ব্যাখ্যা:
যা চিরস্থায়ী নয় = নশ্বর,
যা স্থায়ী নয় = অস্থায়ী,
যা ক্ষণকাল ব্যাপিয়া স্থায়ী = ক্ষণস্থায়ী।

৬. Intellectual শব্দের বাংলা অর্থ —

ব্যাখ্যা:
Intellectual- শব্দের অর্থ বুদ্ধিজীবী, মনীষী।
‘বুদ্ধিমান’, ও ‘মেধাবী’-এর ইংরেজি intelligent, learned, wise।
‘মননশীল’-এর ইংরেজি thoughtful, reflective।

৭. ‘অবমূল্যায়ন’ ও ‘অবদান’ শব্দ দুটিতে ‘অব’ উপসর্গটি সম্পর্কে কোন মন্তব্যটি ঠিক?

ব্যাখ্যা: একই উপসর্গ শব্দের সামনে বসে বিভিন্ন রূপ অর্থ প্রকাশ করে। যেমন- অব উপসর্গ অবমূল্যায়ন শব্দে হীনতা অর্থে এবং অবদান শব্দে সম্যক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

৮. ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।’ -এই উক্তিটি কোন পত্রিকার প্রতি সংখ্যায় লেখা থাকতো?

ব্যাখ্যা: ১৯২৬ সালে ঢাকায় মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন লেখকরা গঠন করেন ‘ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ’। তারা মনে করতেন ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব। সংগঠনটির মুখপাত্র হিসেবে প্রকাশিত হয় ‘শিখা’ পত্রিকা। তাই পত্রিকার প্রতিটি সংখ্যায় কথাটি লেখা থাকত। পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের প্রাণপুরুষ আবুল হোসেন।

৯. কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘সঞ্চিতা’ কাব্যটি কাকে উৎসর্গ করেছিলেন?

ব্যাখ্যা: কাজী নজরুল ইসলাম তার ‘সঞ্চিতা’ কাব্যগ্রন্হটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেন।

১০. কোন উপন্যাসটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ?

ব্যাখ্যা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত অন্যান্য উপন্যাসগুলি হলো- করুণা, বৌ-ঠাকুরাণীর হাট, রাজর্ষি, চোখের বালি, নৌকাডুবি, গোরা, চতুরঙ্গ, যোগাযোগ, শেষের কবিতা, দুই বোন, চার অধ্যায় ও মালঞ্চ।

১১. ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ গ্রন্থের সম্পাদক কে ছিলেন?

ব্যাখ্যা: হাসান হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় একুশের প্রথম সাহিত্য সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত হয়।

১২. ‘রোহিনী’ চরিত্রটি কোন উপন্যাসে পাওয়া যায়?

ব্যাখ্যা:

১৩. বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতে কোন বিষয়টি প্রধানভাবে আছে?

ব্যাখ্যা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আমার সোনার বাংলা’ কবিতা ১৯০৫ সালে ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। ২৫ চরণবিশিষ্ট এ কবিতাটির প্রথম ১০ চরণ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয় ১৯৭১ সালের এপ্রিলে যা জাতীয় সংসদে পাস হয় ১৩ জানুয়ারি, ১৯৭২।

১৪. জীবনানন্দ দাশের জন্মস্থান কোন জেলায়?

ব্যাখ্যা: রবীন্দ্র-উত্তর আধুনিক বাংলা কবিতায় পঞ্চপাণ্ডবের একজন ছিলেন জীবনানন্দ দাশ। তাঁর জন্ম ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশাল জেলার ধানসিঁড়ি নদীর তীরে এক ব্রাহ্ম পরিবারে। প্রতিভাবান এই কবি কলকাতায় ট্রামের নিচে পড়ে আহত হন এবং ২২ অক্টোবর ১৯৫৪ মারা যান।

১৫. ‘মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর’- এই পংক্তিটি কার রচনা?

ব্যাখ্যা: হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী লেখক হিসেবে পরিচিত শেখ ফজলুল করিমের (১৮৮২-১৯৩৬) ‘স্বর্গ-নরক’, কবিতার চরণ এটি।

১৬. বাংলা একাডেমি কোন বছর প্রতিষ্ঠিত হয়?

ব্যাখ্যা: বাংলা ভাষা সংক্রান্ত সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর (১৩৬২ বঙ্গাব্দের ১৭ অগ্রহায়ণ) ঢাকার বর্ধমান হাউজে প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৭. সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্য–

ব্যাখ্যা: সাধু রীতিতে ব্যবহৃত সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে । যেমন- ভাষা রীতি সর্বনাম বিশেষ্য ক্রিয়া সাধু: তাহারা ভাত খাইতেছিল চলিত: তারা ভাত খাচ্ছিল সাধুরীতি তৎসম শব্দবহুল এবং চলিতরীতি তদ্ভব শব্দবহুল।

১৮. সমগ্র পবিত্র কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদ কে করেন?

ব্যাখ্যা: ভাই গিরিশচন্দ্র সেন দীর্ঘ ছয় বছর (১৮৮১-৮৬) পরিশ্রম করে কুরআন শরীফের প্রথম বঙ্গানুবাদ করেন। তার রচিত অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে ‘তাপসমালা’ (৯৬ জন মুসলিম সাধকের জীবনচরিত) ও ‘তত্ত্বরত্নমালা’ উল্লেখযোগ্য তিনি ১৮৩৫ সালে বর্তমান নরসিংদী জেলার পাঁচদোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৭১ সালে ব্রাহ্মমতে দীক্ষিত হন।

১৯. ‘সমকাল’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?

ব্যাখ্যা:

২০. ‘সওগাত’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?

ব্যাখ্যা:

১. বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন ‘চর্যাপদ’ এর আবিষ্কারক —-

ব্যাখ্যা: বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ। রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র ১৮৮২ সালে ‘Sanskrit Buddist Literature in Nepal’ গ্রন্হে সর্বপ্রথম নেপালের বৌদ্ধতান্ত্রিক সাহিত্যের কথা প্রকাশ করেন।

২. হিন্দি ‘পদুমাবৎ’-এর অবলম্বনে ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের রচয়িতা—

ব্যাখ্যা: আলাওল ছিলেন আরাকান রাজসভার শ্রেষ্ঠ কবি । তার শ্রেষ্ঠ রচনা পদ্মাবতী। এটি হিন্দি কবি মালিক মোহাম্মদ জায়সীর ‘পদুমাবৎ’ অবলম্বনে রচিত। আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যটি সম্পাদনা করেন আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ।

৩. ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’ প্রথম প্রকাশিত হয় —

ব্যাখ্যা: ১৮৩৯ সালে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত হয় তত্ত্ববোধিনী সভা। এই সভার মুখপত্র হিসেবে ১৮৪৩ সালে ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রচারের চেয়ে ব্রাহ্ম সমাজের মাহাত্ম্য প্রচারই ছিল এ পত্রিকার লক্ষ্য। পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন অক্ষয় কুমার বড়াল । তবে প্রতিষ্ঠাকালীন সম্পাদক ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৪. উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য —

ব্যাখ্যা: কতগুলো বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা শব্দের পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে ও অর্থের পরিবর্তন সাধন করে, এই রূপ বর্ণ বা বর্ণসমষ্টিকে উপসর্গ বলে । ক্রিয়া ও নাম প্রকৃতির সঙ্গে যে ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয় বলে। প্রত্যয় শব্দ বা ধাতুর পরে বসে নতুন অর্থবোধক শব্দ গঠন করে।

৫. যে ছন্দের মূল পর্বের মাত্রা সংখ্যা চার, তাকে বলা হয় —

ব্যাখ্যা: বাংলা ছন্দ তিন প্রকার: ক. অক্ষরবৃত্ত খ. মাত্রাবৃত্ত বা বর্ণবৃত্ত গ. স্বরবৃত্ত । অক্ষরবৃত্ত: মূল পর্ব ৮ বা ১০ মাত্রার হয়। মাত্রাবৃত্ত বা বর্ণবৃত্ত: মূল পর্ব সাধারণত ৬ মাত্রার হয়। স্বরবৃত্ত: মূল পর্বের মাত্রা সংখ্যা ৪।

৬. ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’ লাইনটি নিম্নোক্ত একজনের কাব্যে পাওয়া যায় —

ব্যাখ্যা: ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর ছিলেন মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও মঙ্গল কাব্যধারার শেষ কবি। তাকে মধ্যযুগের শেষ বড় কবি এবং নাগরিক কবি হিসেবেও অভিহিত করা হয়। তার রচিত ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের একটি বিখ্যাত উক্তি এটি। উক্তিটি করেছিল ঈশ্বরী পাটনী। ভারতচন্দ্র নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র তার কাব্যপ্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাকে রায়গুণাকর উপাধি দেন।

৭. পর্তুগিজ ভাষা থেকে নিম্নোক্ত একটি শব্দ বাংলা ভাষায় আত্তীকরণ করা হয়েছে —-

ব্যাখ্যা: পর্তুগিজ ভাষা হতে আগত অন্যান্য বাংলা শব্দ হলো আলকাতরা, আলপিন, আলমারি, পেরেক, জানালা, বারান্দা, কামরা, ইংরেজ, গুদাম, গির্জা, পাদ্রি, কেরানি, আয়া, পেঁপে, পেয়ারা, আতা, আচার, পাউরুটি, তামাক, বোতাম, ফিতা, টুপি, সেমিজ, কামিজ, সাবান, তোয়ালে, গামলা, বালতি ইত্যাদি। টেবিল, চেয়ার ইংরেজি শব্দ; শরবত আরবি শব্দ।

৮. ‘লাঠালাঠি’ শব্দটির সমাস —

ব্যাখ্যা: লাঠিতে লাঠিতে যে লড়াই – লাঠালাঠি, ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস; অনুরূপভাবে হাতাহাতি, কানাকানি, চুলোচুলি ইত্যাদি ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস ।

৯. বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে নিম্নোক্ত একটি ভাষা থেকে —

ব্যাখ্যা: বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতকে গৌড়ীয় প্রাকৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষার উদ্ভব । অন্যদিকে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে মাগধী প্রাকৃত থেকে। প্রাকৃত বলতে সাধারণ জনগণের মুখের ভাষা বোঝায়।

১০. শব্দার্থ অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দ সমষ্টিকে ভাগ করা যায় —

ব্যাখ্যা: অর্থগত ভাবে বাংলা শব্দ তিন প্রকার: যৌগিক, রূঢ় বা রূঢ়ি, যোগরূঢ়। উৎপত্তি অনুসারে শব্দ পাঁচ প্রকার : তৎসম, অর্ধ-তৎসম, তদ্ভব, দেশি, বিদেশি । গঠনগত দিকে শব্দ দুই ভাগে বিভক্ত; মৌলিক ও সাধিত।

১১. ‘মানবজীবন’, ‘মহৎজীবন’, ‘উন্নতজীবন’- প্রভৃতি গ্রন্থের রচয়িতা —

ব্যাখ্যা: চিন্তাশীল ও যুক্তিবাদী প্রাবন্ধিক ডাঃ লুৎফর রহমান রচিত বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্হ ‘মানবজীবন’, ‘মহৎজীবন’, ‘উন্নতজীবন’। এস ওয়াজেদ আলী রচিত গ্রন্হ ‘মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ’ ‘ভবিষ্যতের বাঙালি’। এয়াকুব আলী চৌধুরী রচিত গ্রন্হসমূহ ‘ধর্মের কাহিনী’, ‘শান্তিধারা’, ‘মানব মুকুট’। মো. ওয়াজেদ আলী রচিত গ্রন্হসমূহ ‘মরুভাস্কর’ ‘মহামানুষ মুহসীন’, ‘মণিচয়নিকা’।

১২. ‘সিরাজাম মুনীরা’ কাব্যের রচয়িতার নাম —

ব্যাখ্যা: মুসলিম রেনেসাঁর কবি হিসেবে পরিচিত ফররুখ আহমেদের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্হ ‘সাত সাগরের মাঝি’। তার অন্যান্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে সিরাজাম মুনীরা, নৌফেল ও হাতেম, মুহূর্তের কবিতা (সনেট সংকলন), হাতেম তায়ী, কাফেলা উল্লেখযোগ্য। কবিদের মধ্যে তিনিই প্রথম ১৯৬০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।

১৩. ষড়ঋতু শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ —

ব্যাখ্যা:

১৪. ‘বীরবল’ নিম্নোক্ত একজন লেখকের ছদ্দনাম —

ব্যাখ্যা: বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী। বীরবল ছদ্মনামে তিনি লিখেছেন ‘বীরবলের হালখাতা’। চলিত রীতিকে বাংলা গদ্যে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি সম্পাদনা করেন বিখ্যাত পত্রিকা ‘সবুজপত্র’ (১৯১৪)। বাংলা কাব্যসাহিত্যে তিনি ইতালীয় সনেটের প্রবর্তন করেন। তার রচিত বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্হ- তেল নুন লাকড়ি, বীরবলের হালখাতা ও রায়তের কথা; গল্পগ্রন্হ- চার ইয়ারী কথা ও আহুতি; কাব্যগ্রন্হ- সনেট পঞ্চাশৎ।

১৫. ‘লাপাত্তা’ শব্দের ‘লা’ উপসর্গটি বাংলা ভাষায় এসেছে —

ব্যাখ্যা: লা আরবি উপসর্গ। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিদেশি উপসর্গগুলো হলো: ফারসি- কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম; ইংরেজি- হাফ, ফুল, হেড ও সাব; আরবি- আম, খাস, লা, গর; হিন্দি/ উর্দু-হর।

১৬. ১৯৯৪ সালে যে প্রবন্ধকার বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন —

ব্যাখ্যা: বাংলা সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য ১৯৬০ সাল থেকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। প্রথাবিরোধী লেখক ড. আহমদ শরীফ ১৯৬৮ সালে এবং হুমায়ুন আজাদ ১৯৮৬ সালে এ পুরস্কার লাভ করেন। ২০২০ সালে প্রবন্ধকার হিসেবে বেগম আকতার কামাল বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করে।

১৭. ‘কেউ মালা, কেউ তসবি গলায়, তাইতো জাত ভিন্ন বলায়’ এই পংক্তিটি নিচের একজনের লেখা —

ব্যাখ্যা: বাউলসাধক লালন সাঁই রচিত কয়েকটি জনপ্রিয় গান- ‘জাত গেলো জাত গেলো বলে’, ‘আমার ঘরের চাবি পরের হাতে’, ‘আর আমারে মারিসনে মা’, ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’, ‘বাড়ির কাছে আরশী নগর’, ‘আমার ঘরখানায় কে বিরাজ করে’, ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, ‘মিলন হবে কতদিনে’।

১৮. ‘অক্ষির সমীপে’র সংক্ষেপ হলো —

ব্যাখ্যা:
সমক্ষ = অক্ষির সমীপে বা চোখের সম্মুখে;
পরোক্ষ= অক্ষির অগোচরে,
অক্ষির সমক্ষে বর্তমান = প্রত্যক্ষ

১৯. ‘হজরত মুহম্মদ (স) ছিলেন একজন আদর্শ মানব’ বাক্যটি নিম্নোক্ত একটি শ্রেণির ––

ব্যাখ্যা: এটি সরল বাক্য। কারণ বাক্যটিতে একটি কর্তা ও একটি সমাপিকা ক্রিয়া রয়েছে।

২০. ‘মধুর চেয়েও আছে মধুর সে আমার এই দেশের মাটি আমার দেশের পথের ধুলা খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি’। কবিতার এই অংশ বিশেষের রচয়িতা —-

ব্যাখ্যা: বাংলা সাহিত্যে ছন্দের রাজা ও ছন্দের জাদুকর বলে খ্যাত সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত ‘খাঁটি সোনা’ কবিতার অংশ বিশেষ উপর্যুক্ত অংশটুকু। তাঁর রচিত বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে সবিতা, সন্ধিক্ষণ, বেণু ও বীণা, কুহু ও কেকা, অভ্র আবীর, হসন্তিকা, বেলা শেষের গান, বিদায় আরতি ও কাব্য সঞ্চয়ন উল্লেখযোগ্য।


১. বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাবিহীন বর্ণের সংখ্যা কায়টি?

ব্যাখ্যা: বাংলা বর্ণমালায় মোট বর্ণের সংখ্যা ৫০টি। পূর্ণমাত্রাবিশিষ্ট বর্ণ সংখ্যা ৩২টি। অর্ধমাত্রাবিশিষ্ট বর্ণ সংখ্যা ৮টি এবং মাত্রাহীন বর্ণ সংখ্যা ১০টি।

২. ‘তার বয়স বেড়েছে কিন্তু বুদ্ধি বাড়েনি’- এটা কোন ধরনের বাক্য?

ব্যাখ্যা: পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা মিশ্র বাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে। প্রশ্নে প্রদত্ত বাক্যটি যৌগিক। কারণ, এখানে দুটি নিরপেক্ষ বাক্য রয়েছে। ১. তার বয়স বেড়েছে ২. তার বুদ্ধি বাড়েনি- বাক্য দুটি অব্যয় দ্বারা যুক্ত।

৩. ‘একাদশে বৃহস্পতি’ এর অর্থ কি?

ব্যাখ্যা: হঠাৎ কারো ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে তাকে ‘একাদশে বৃহস্পতি’ বলে।

৪. লিঙ্গান্তর হয় না এমন শব্দ কোনটি?

ব্যাখ্যা: লিঙ্গান্তর হয় না এমন পুরুষবাচক শব্দ: কাজী, কুস্তিগীর, পুরোহিত, জামাতা, কবিরাজ, ঢাকী, কৃতদার, অকৃতদার, মৃতদার । অন্য শব্দগুলোর লিঙ্গান্তর হলো : সাহেব–বিবি, বেয়াই–বেয়াইন, সঙ্গী–সঙ্গিনী।

৫. সাধু ভাষা সাধারণত কোথায় অনুপযোগী?

ব্যাখ্যা: সাধুরীতির বৈশিষ্ট্য হলো : ১. এ ভাষারীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণ নিয়ম অনুসারে চলে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট । ২. এ ভাষারীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল। ৩. এ রীতি নাটক, সংলাপ ও বক্তৃতায় অনুপযোগী। ৪. এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে।

৬. দুটি পুরুষবাচক শব্দ রয়েছে কোনটির?

ব্যাখ্যা: ননদের দুটি পুরুষবাচক শব্দ আছে। ননদ–দেবর/ ননদাই। প্রিয়–প্রিয়া, শিষ্য–শিষ্যা,খানসামা–আয়া।

৭. বিভক্তিহীন নাম শব্দকে কি বলে?

ব্যাখ্যা: প্রাতিপদিক হলো বিভক্তিহীন নামশব্দ। নামপদ হলো যে পদ দ্বারা নাম বুঝায়; উপপদ হলো যে পদের পরবর্তী ক্রিয়ামূলের সঙ্গে কৃৎ প্রত্যয় যুক্ত হয়; উপমিত পদ হচ্ছে সাধারণ গুণের উল্লেখবিহীন উপমেয় পদের সাথে উপমান পদের মিলন।

৮. কোন বাক্যটি দ্বারা অনুরোধ বুঝায়?

ব্যাখ্যা: আদেশ অর্থে : তুই বাড়ি যা। প্রার্থনা অর্থে : ক্ষমা করা মোর অপরাধ। অনুরোধ অর্থে : কাল একবার এসো। ভর্ৎসনা অর্থে : দূর হও।

৯. ধাতুর পর কোন প্রত্যয় যুক্ত করে ভাববাচক বিশেষ্য বুঝায় ?

ব্যাখ্যা: ভাববাচক বিশেষ্য গঠনে আও প্রত্যয় যুক্ত হয় ।

১০. বচন অর্থ কি?

ব্যাখ্যা: ‘বচন শব্দের অর্থ সংখ্যার ধারণা। বচন ২ প্রকার। যথা: একবচন ও বহুবচন। ‘বচন শব্দের অর্থ সংখ্যার ধারণা। বচন ২ প্রকার। যথা: একবচন ও বহুবচন।

১১. ‘মরি মরি! কি সুন্দর প্রভাতের রূপ’- বাক্যে ‘মরি মরি’ কোন শ্রেণির অব্যয়?

ব্যাখ্যা: যেসব বাক্য অন্য পদের সাথে কোনো সম্বন্ধ না রেখে স্বাধীনভাবে নানাবিধ ভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয় তাকে অনন্বয়ী অব্যয় বলে। উচ্ছ্বাস প্রকাশে : মরি মরি! কী সুন্দর প্রভাতের রূপ। যেসব অব্যয় অব্যক্ত রব, শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয়, সেগুলোকে অনুকার অব্যয় বলে। যেমন- নূপুরের আওয়াজ – রুম ঝুম, বাতাসের গতি – শন শন।

১২. ‘দোলনা’ শব্দের সঠিক প্রকৃতি-প্রত্যয় কোনটি?

ব্যাখ্যা: দুল্ + অনা = দুলনা > দোলনা (কৃত প্রত্যয়)।

১৩. ‘কৌশলে কার্যোদ্ধার’—- কোনটির অর্থ

ব্যাখ্যা: গাছে তুলে মই কাড়া : সাহায্যের আশা দিয়ে সাহায্য না করা। এক ক্ষুরে মাথা মোড়ানো (কামানো): একই স্বভাবের। ধরি মাছ না ছুঁই পানি : কৌশলে কার্যোদ্ধার। আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া: দুর্লভ বস্তু হাতে পাওয়া।

১৪. ‘সন্ধি’ ব্যাকরণের কোন অংশের আলোচ্য বিষয়?

ব্যাখ্যা: ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়: সন্ধি, ণ-ত্ব বিধান, ষ-ত্ব বিধান, ধ্বনির উচ্চারণস্থান, উচ্চারণপ্রণালি ইত্যাদি। শব্দতত্ত্ব/ রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়: শব্দ, প্রত্যয়, পুরুষ, উপসর্গ, কারক ও বিভক্তি, বচন, সমাস, লিঙ্গ ইত্যাদি। বাক্যতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়: পদবিন্যাস, বাক্যরীতি, বাক্য বিন্যাস, বাচ্য পরিবর্তন, বাগধারা, বাক্য সংকোচন, বিরাম চিহ্ন ইত্যাদি।

১৫. কোনটি অপ্রাণীবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়?

ব্যাখ্যা: গণ, বৃন্দ, মণ্ডলী, বর্গ উন্নত প্রাণিবাচক (মনুষ্য) শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়। যেমন : সুধীবৃন্দ, মন্ত্রিবর্গ। কুল, সকল, সব, সমূহ প্রাণিবাচক ও অপ্রাণিবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়। যেমন-কবিকুল, পক্ষীকুল। গ্রাম: অপ্রাণিবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়। যেমন-গুণগ্রাম (গুণাবলি)।

১৬. বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক কোনটি?

ব্যাখ্যা: বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক শব্দ। শব্দ হলো অর্থবোধক ধ্বনিসমষ্টি, যা বাক্য গঠ‌নের মূল উপাদান। শব্দ একাধিক বর্ণ ও অক্ষর সমন্বয়ে গঠিত হয়ে থাকে ।

১৭. সন্ধির প্রধান সুবিধা কি?

ব্যাখ্যা: সন্ধি হলো পাশাপাশি দুই বর্ণের মিলন। এর মাধ্যমে স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজ প্রবণতা ও ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন করা যায়।

১৮. কোন বানানটি শুদ্ধ?

ব্যাখ্যা:

১৯. কোন বইটি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নয়?

ব্যাখ্যা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গ্রন্হ ‘শেষের কবিতা’ (উপন্যাস), ‘সোনারতরী’ (কাব্যগ্রন্হ), ‘মানসী’ (কাব্যগ্রন্হ) । ‘দোলন চাঁপা’ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কাব্যগ্রন্থ ।

২০. কাজী ইমদাদুল হক-এর ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাসের উপজীব্য কি?

ব্যাখ্যা: ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাসটি লেখকের জীবদ্দশায় সম্পূর্ণ বা প্রকাশ হয়নি। তিনি এ উপন্যাসটি জীবনের শেষান্তে শুরু করলেও শেষ করে যেতে পারেননি। পরবর্তীতে তার খসড়ার ভিত্তিতে উপন্যাসটি সম্পূর্ণ করা হয় এবং তা ১৯৩২ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
১৯৬৮ সালে কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ড (আজকের বাংলা একাডেমি) আবদুল কাদিরের সম্পাদনায় প্রকাশ করে ‘কাজী ইমদাদুল হকের রচনাবলি’।

২১. ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির পটভূমিতে রচিত ‘কবর’ নাটকের রচয়িতা কে?

ব্যাখ্যা: বিখ্যাত নাট্যকার মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক ‘কবর’। ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে নাটকটি রচিত। তিনি ১৯৫৩ সালে ১৭ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে নাটকটি রচনা করেন। নাটকটি জেলের রাজবন্দিদের দ্বারা অভিনীত হয়।


১. ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবি নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

ব্যাখ্যা: ১৯২২ সালে প্রকাশিত ‘অগ্নিবীণা’ কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্হ। এই গ্রন্থে ১২টি কবিতা সংকলিত হয়েছে। যথা- প্রলয়োল্লাস, বিদ্রোহী, রক্তাম্বরধারিণী মা, আগমনী, ধূমকেতু, কামালপাশা, আনোয়ার, রণভেরী, সাত-ইল-আরব, খেয়াপারের তরণী, কোরবানী ও মোহররম।

২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম হলো —

ব্যাখ্যা:

৩. ‘দ্য লিবারেশন অব বাংলাদেশ’ গ্রন্থের রচয়িতা —

ব্যাখ্যা: ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং ইংরেজি ভাষার ‘The Liberation of Bangladesh’ গ্রন্হটি রচনা করেন।


১. ‘পদ’ বলতে কি বোঝায়?

ব্যাখ্যা: সাধারণ অর্থে বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দই এক একটি পদ। কিন্তু বাক্যে ব্যবহার হওয়া মাত্র শব্দসমূহে বিভক্তি যুক্ত হয়। যে শব্দে বিভক্তি দেখা যায় না সেটিতে শূন্য বিভক্তি থাকে। তাই ব্যাকরণের দৃষ্টিকোণ থেকে বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকেই পদ বলে।

২. কোন বানানটি শুদ্ধ?

ব্যাখ্যা:

৩. ঠোঁট-কাটা বলতে কি বুঝায়?

ব্যাখ্যা: ‘ঠোঁট-কাটা’ শব্দের অর্থ কাউকে কোনো কিছু বলতে দ্বিধাবোধ করে না এমন, স্পষ্টবক্তা বা স্পষ্টবাদী। ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলতে বোঝায় একচোখা বা এক পক্ষের প্রতি অনুরক্ত।

৪. ‘বিষাদ-সিন্ধু’ কার রচনা?

ব্যাখ্যা: বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেন। কারবালার বিষাদময় কাহিনী অবলম্বনে রচিত ‘বিষাদ-সিন্ধু’ মীর মশাররফ হোসেনের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। উপন্যাসটিতে তিনটি পর্ব আছে। ‘মহরম পর্ব’, ‘উদ্ধার পর্ব’ ও ‘এজিদবধ পর্ব’। তার আরেকটি বিখ্যাত উপন্যাস হলো উদাসীন পথিকের মনের কথা।

৫. কোনটি কাব্যগ্রন্থ?

ব্যাখ্যা:

৬. নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ কোনটি?

ব্যাখ্যা: বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ও গল্পগ্রন্থ – “ব্যাথার দান”(১৯২২)। কিন্তু তার প্রকাশিত প্রথম রচনা ও গল্প হলো – “বাউন্ডুলের আত্মকাহিনী” যা ১৯১৯ সালে “সওগাত ” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। “অগ্নিবীণা” তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ এবং “রাজবন্দীর জবানবন্দি” তার প্রবন্ধগ্রন্থ। আর “নবযুগ” তার সম্পাদিত পত্রিকা।

৭. কোনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস?

ব্যাখ্যা:

৮. কোনটি শামসুর রহমানের রচনা?

ব্যাখ্যা: শামসুর রহমানের কাব্যগ্রন্থের মধ্যে- প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে (প্রথম কাব্যগ্রন্থ), রৌদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত নীলিমা, বন্দী শিবির থেকে, বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে, উদ্ভট উটের পিঠে চলছে স্বদেশ, এক ফোঁটা কেমন অনল, বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়, নিরালোকে দিব্যরথ, না বাস্তব না দুঃস্বপ্ন উল্লেখযোগ্য। অক্টোপাস, অদ্ভুত আঁধার এক, নিয়ত মন্তাজ এবং এলো সে অবেলায় তার রচিত উপন্যাস। স্মৃতির শহর এবং কালের ধূলোয় লেখা তার আত্মস্মৃতিমূলক গ্রন্থ।

৯. ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এল বান’ -এখানে টাপুর টুপুর কোন ধরনের শব্দ?

ব্যাখ্যা: যে শব্দ অব্যক্ত রব, শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয় তাকে অনুকার বা ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলে। যেমন: কুহু কুহু (কোকিলের রব), টাপুর টুপুর (বৃষ্টির পতনের শব্দ), হু হু (বাতাস প্রবাহের শব্দ)।

১০. কোনটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ?

ব্যাখ্যা:

১১. ‘যা সহজে অতিক্রম করা যায় না’ -এ বাক্যাংশের সংক্ষিপ্ত রূপ কি?

ব্যাখ্যা: যা অতিক্রম করা যায় না- অনতিক্রম্য; যা লঙ্ঘন করা যায় না- অলঙ্ঘ্য; যা সহজে অতিক্রম করা যায় না- দূরতিক্রম্য; যেখানে সহজে গমন করা যায় না- দুর্গম।

১২. ‘ব্যাঙের সর্দি’ -অর্থ কি?

ব্যাখ্যা:

১৩. ‘সংশপ্তক’ কার রচনা?

ব্যাখ্যা: শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার রচিত ‘সংশপ্তক’ একটি মহাকাব্যিক উপন্যাস। এই উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র: রাবু, জাহেদ, হুরমতি, রমজান ইত্যাদি। তার আরেকটি বিখ্যাত উপন্যাস হলো ‘সারেং বৌ’। ‘রাজবন্দীর রোজনামচা’ তার বিখ্যাত স্মৃতিকথা এবং ‘পেশোয়ার থেকে তাশখন্দ’ তার ভ্রমণকাহিনী। শহীদুল্লা কায়সার ছিলেন আরেকজন বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান এর বড় ভাই।

১৪. ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ প্রথম সংকলনের সম্পাদক কে?

ব্যাখ্যা: হাসান হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় একুশের প্রথম সাহিত্য সংকলন ছিল ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত হয়। ১৬ খণ্ডে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিল পত্র’ টিও তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। তার রচিত কাব্যগ্রন্হগুলো হলো- আর্ত শব্দাবলী, অন্তিম শরের মতো, যখন উদ্যত সঙ্গীন, শোকার্ত তরবারী, বিমুখ প্রান্তর ইত্যাদি।

১৫. ‘নদী ও নারী’ কার রচনা?

ব্যাখ্যা:

১৬. কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গ্রন্থ কোনটি?

ব্যাখ্যা: কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গীতবিষয়ক গ্রন্থ রাঙাজবা। মরুশিখা হলো যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের কাব্যগ্রন্থ। মরুসূর্য হলো আ.ন.ম. বজলুর রশীদ রচিত কাব্যগ্রন্থ।

১৭. ‘আত্মঘাতী বাঙালি’ কার রচিত গ্রন্থ?

ব্যাখ্যা: নীরদচন্দ্র চৌধুরী রচিত বাংলা প্রবন্ধ গ্রন্থের মধ্যে ‘বাঙালী জীবনে রমণী’, ‘আমার দেশ আমার শতক’, ‘আমার দেবোত্তর সম্পত্তি’, ‘আত্মঘাতী বাঙালি’ ও ‘আত্মঘাতী রবীন্দ্রনাথ’উল্লেখযোগ্য।

১৮. ‘সংস্কৃতির ভাঙা সেতু’ গ্রন্হ কে রচনা করেছেন?

ব্যাখ্যা: ‘সংস্কৃতির ভাঙা সেতু’ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ। ‘চিলেকোঠার সেপাই’ ও ‘খোয়াবনামা’ তার বিখ্যাত উপন্যাস। তার রচিত গল্পগ্রন্থের মধ্যে ‘দুধেভাতে উৎপাত’, ‘অন্য ঘরে অন্য স্বর’, ‘খোঁয়ারি’, ‘দোজখের ওম’ উল্লেখযোগ্য।

১৯. কাক ভূষণ্ডির অর্থ কি?

ব্যাখ্যা:

২০. নিত্য মূর্ধণ্য-ষ কোন শব্দে বর্তমান?

ব্যাখ্যা: কতগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধণ্য-ষ বসে। যেমন: আষাঢ়, ঊষা, ঈষৎ, পাষণ্ড, পাষাণ, ভাষা, শোষণ ইত্যাদি।

Your Score: