আওয়াজ যখন ভাষার নিদিষ্ট কোনো চিহ্নকে কল্পনা করতে সাহায্য করে তখন তাকে ধ্বনি বলে। শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশকে/এককে ধ্বনি বলে।

শওকত ওসমানের মোট উপন্যাসের সংখ্যা ১৫টি। এগুলো হল: বনী আদম, জননী (১৯৫৮), ক্রীতদাসের হাসি (১৯৬২), সমাগম (১৯৬৭), চৌরসন্ধি (১৯৬৮), রাজা উপাখ্যান (১৯৭১), জাহান্নাম হইতে বিদায় (১৯৭১), দুই সৈনিক (১৯৭৩), নেকড়ে অরণ্য (১৯৭৩), পতঙ্গ পিঞ্জর (১৯৮৩), আর্তনাদ (১৯৮৫), জলাঙ্গী (১৯৮৬), রাজপুরুষ (১৯৯২), রাজসাক্ষী, বেড়ি।

দিনের পূর্ব ভাগ — পূর্বাহ্ন।
দিনের শেষ ভাগ — অপরাহ্ন।
দিনের আলো ও সন্ধার আঁধারের মিলন — গোধূলী।

এখানে মাছ ধরার কাজটা করেছে জেলে। তাই জেলে কর্তৃকারক। আর এখানে জেলে শব্দে শূন্য বা প্রথমা বিভক্তি।

বাক্যস্থিত একটি শব্দের সাথে অন্য শব্দের অন্বয় সাধনের জন্য শব্দের সাথে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয় তাদের বিভক্তি বলে। কারকে বিভক্তির প্রয়োজন হয়।

এখানে

'আসাদের শার্ট' কবিতার লেখক শামসুর রাহমান । 'নিজ বাসভূমে' (১৯৭০) কাব্যগ্রন্থে কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শহিদ আসাদের রক্তাক্ত শার্টকে উপলক্ষ করেই কবি কবিতাটি রচনা করে

আর্বাচীন — প্রাচীন।
নবীন — প্রবীন।
নির্বাচিত — অনির্বাচিত।

নন্দিনী বা মেয়ে এর সমার্থক শব্দ: কন্যা, দুলালি, সুতা, দুহিতা, আত্মজা, তনয়া, পুত্রী, ঝি, বালা, দারিকা

মীর মশাররফ হোসেন এর জন্ম কুষ্টিয়াতে (কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া গ্রাম)।

চাঁদমুখ বা চন্দ্রমুখ এর ব্যাসবাক্য হবে মুখ চাঁদের ন্যায় কিংবা চাদের ন্যায় মুখ।

চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন পয়ার ও ত্রিপদী ছন্দে রচিত। তবে আধুনিক ছন্দের বিচারে এগুলোকে মাত্রাবৃত্ত ছন্দ হিসেবে গণ্য করা হয়।

শওকত ওসমান (২ জানুয়ারি ১৯১৭–মে ১৪, ১৯৯৮) বিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশের একজন স্বনামখ্যাত লেখক ও কথাসাহিত্যিক। জন্মসূত্রে তাঁর নাম শেখ আজিজুর রহমান।

কাক ভূষন্ডী — সম্পূর্ণ ভেজা।
ভূষন্ডির কাক — দীর্ঘজীবী।
কাক নিদ্রা — অগভীর সতর্ক নিদ্রা।
কাক জ্যোৎস্না — ক্ষীণ চন্দ্রালোক।
কাকস্নান — সংক্ষিপ্ত গোসল।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর "বসন্ত" নাটকটি কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেন।

যেসব শব্দকে আর বিশ্লেষণ করা যায় না সেসব শব্দকে মৌলিক শব্দ বলে। মৌলিক শব্দগুলো: তিন, নাক, লাল, গোলাপ।

এখানে

বেসাতি” শব্দের প্রকৃত অর্থ কেনাবেচা। বেসাতি শব্দের আরো কিছু অর্থ হলো: কেনাবেচা, দোকানদারি, দোকানদার, পসারি, বেনে, ফেরিওয়ালা ইত্যাদি।

ধ্বনি উচ্চারণ করতে যেমন প্রত্যঙ্গ কাজে লাগে, সেগুলোকে একত্রে বাগযন্ত্র বলে। বাগযন্ত্রের অংশগুলো: আলভিত, অধিজিহ্বা, কোমল তালু, শক্ত তালু, ওষ্ঠ, নাসারন্ধ, নাসিকা শহর, মুখ, নিচের চোয়াল, গলবিনীয় হার, যন্ত্র, খাদ্যনালী, শ্বাসনালী, ফুসফুস

দেশি শব্দ হলো: ঝিঙ্গা, ঢিল, মুড়কী, কুলা, গঞ্জ, ঢোল, ঝাঁটা, খোঁপা, ডিঙ্গি, খোকা, টং, বাড়ি, তেতুল, লাঠি, পেট, চুলা , ডাক, টোপর, কুড়ি প্রভৃতি। মাছি একটি তদ্ভব শব্দ।

যে বাক্যে একটি মাত্র কর্তা এবং একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে।

সারাংশ প্রথম পুরুষে লিখতে হয়। সারাংশ এর ভাষা সহজ ও সাবলীল হওয়া দরকার। বাক্যের বক্তা অনুপস্থিত কোনো ব্যক্তি বা দূরের কোন বস্তুর সম্বন্ধে কিছু বলবার সময় সেই ব্যক্তি বা নামের পরিবর্তে যে সর্বনাম বা বিশেষ্য পদ ব্যবহার করা হয় তাকেই প্রথম পুরুষ বলে।

'আমরা সবাই রাজা, আমাদের এই রাজার রাজত্বে' পঙক্তিটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

এখানে

বেগম সুফিয়া কামাল (২০শে জুন ১৯১১ - ২০শে নভেম্বর ১৯৯৯) এর কাব্যগ্রন্থ গুরো হলো: সাঁঝের মায়া (১৯৩৮), মায়া কাজল (১৯৫১), মন ও জীবন (১৯৫৭), প্রশস্তি ও প্রার্থনা (১৯৫৮), উদাত্ত পৃথিবী (১৯৬৪), দিওয়ান (১৯৬৬), অভিযাত্রিক (১৯৬৯), মৃত্তিকার ঘ্রাণ (১৯৭০), মোর জাদুদের সমাধি পরে (১৯৭২)।

'মহাশ্মশান ' — মহাকাব্য।
'সোজন বাদিয়ার ঘাট' — কাহিনী কাব্য।
'কাঁদো নদী কাঁদো' — উপন্যাস।
'বহিপীর' — নাটক।

হর্ষ শব্দের অর্থ আনন্দ, প্রসন্নতা, প্রফুল্লতা। হর্ষ এর বিপরীত শব্দ বিষাদ যার অর্থ দুঃখ, স্ফূর্তিহীনতা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সমাপ্তি’ ছোটগল্পের নায়িকা ‘মৃন্ময়ী’ এবং নায়ক ‘অপূর্বকৃষ্ণ’।

জীবনানন্দ দাশ এর মা কুসুমকুমারী দাশও একজন কবি ছিলেন।

এখানে

যে কর্তা নিজে নিজেই ক্রিয়া সম্পাদন করে, সে মুখ্য কর্তা। যেমনঃ মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে।

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত ফারসি উপসর্গ এর সংখ্যা ১০ টি। যেমন: না, নিম, ফি, বে, ব, দর, কার, বর, বদ, কম। তন্মধ্যে "নিম" একটি।

‘উপসর্গ’ কথাটির মূল অর্থ ‘উপসৃষ্ট’। এর কাজ হলো নতুন শব্দ গঠন করা। উপসর্গের নিজস্ব কোন অর্থ নেই, তবে এগুলো অন্য শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে থাকে।

বাংলা মুদ্রাক্ষরেরে জনক বলা হয় চার্লস উইলকিন্সকে। তিনি ১৭৭৮ সালে হুগলিতে প্রথম বাংলা ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি নিজেই বাংলা অক্ষরের নকশা তৈরি করেন।

সেমিকোলন (;) একাধিক বাক্যের মধ্যে অর্থের নিকট সম্বন্ধ থাকলে বাক্য্যগুলোকে একটু বেশি থামার চিহ্ন দিয়ে ভাগ করতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় সেমিকোলন।

মুক্তি পেতে ইচ্ছুক — মুমুক্ষু বা মুক্তিকামী।
মুক্তি পাওয়ার ইচ্ছা — মুমুক্ষা।

সুরবালা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একরাত্রি ছোট গল্পের চরিত্র। তাই এটি শরৎ (শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) সাহিত্যের চরিত্র নয়।

"একেই কি বলে সভ্যতা? " এটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রহসন। প্রহসন বলতে মুলত একধরনের হাস্যরসাত্মক নাটক বোঝায়।

কি হেতু এসেছ তুমি কহ বিস্তারিয়া' 'হেতু' অনুসর্গটি নিমিত্ত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। নিমিত্ত শব্দের অর্থ হলো: হেতু, কারণ, উদ্দেশ্য।

বাংলা সাহিত্যের হাজার বছরের ইতিহাস প্রধানত তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত: ১. আদিযুগ বা প্রাচীন যুগ (আনুমানিক ৬৫০ খ্রি. মতান্তরে ৯৫০ খ্রি.–১২০০ খ্রি.)
২. মধ্যযুগ (১২০১ খ্রি.–১৮০০ খ্রি.)
৩. আধুনিক যুগ (১৮০১ খ্রি.–বর্তমান কাল)

'কাঁদো নদী কাঁদো' (১৯৬৮) উপন্যাসটির রচয়িতা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ । তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হলো: লালসালু (১৯৪৮) , চাঁদের অমাবস্যা (১৯৬৪)।

সুভাষ মুখোপাধ্যায় (১২ ফেব্রুয়ারি ১৯১৯ – ৮ জুলাই ২০০৩) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর উল্লেখযোগ্য বাঙালি কবি ও গদ্যকার। কবিতা তার প্রধান সাহিত্যক্ষেত্র হলেও ছড়া, রিপোর্টাজ, ভ্রমণসাহিত্য, অর্থনীতিমূলক রচনা, বিদেশি গ্রন্থের অনুবাদ, কবিতা সম্পর্কিত আলোচনা, উপন্যাস, জীবনী, শিশু ও কিশোর সাহিত্য সকল প্রকার রচনাতেই তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত।

বিবর (বিশেষ্য পদ) এর অর্থ গহ্বর, ছিদ্র, গর্ত।

Forgery (ফোর্জরী) শব্দের অর্থ : জালিয়াতি, কূটকর্ম।

জটিল বাক্যের অন্তর্গত প্রত্যেক খন্ডবাক্যের পর কমা বসে। যে বাক্যে একটি প্রধান বাক্যাংশ এবং এক বা একাধিক অপ্রধান বাক্যাংশ থাকে, তাকে জটিল বাক্য বলে।

অমিয় চক্রবর্তী এর কাব্যগ্রন্থ ‘অনিঃশেষ’ এর একটি কবিতা 'বাংলাদেশ'।

যে বাক্যে কর্তা থাকে না, কর্মই কর্তার কাজ করে, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে। 'চাঁদ দেখা যাচ্ছে' এ বাক্যে কর্তা নেই।

এখানে

বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'কিসের দ্বারা' বা 'কী উপায়ে' প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই করণ কারক। ব্যায়ামে শব্দটিতে এ বিভক্তি যুক্ত। তাই এটি ৭মী বিভক্তি।

যা বলা হবে — বক্তব্য।
বলা হয়েছে এমন — উক্ত।
যা বলার যোগ্য নয় — অকথ্য।
যা বলা হয় নি — অনুক্ত।

"বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস" শিরোনামে বেশ কয়েকটি বিখ্যাত গ্রন্থ:
বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস: ড. দীনেশচন্দ্র সেন (প্রথম প্রকাশ: ১৮৯৬)
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রবন্ধ): ড. সুকুমার সেন (প্রথম প্রকাশ: ১৯৪০)
বাংলা সাহিত্যের কথা: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (প্রথম প্রকাশ: ১৯৫৩)
বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত: মুহম্মদ আবদুল হাই ও সৈয়দ আলী আহসান (প্রথম প্রকাশ: ১৯৬২)
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস: আবুল ফয়সল মাহমুদ (প্রথম প্রকাশ: ১৯৮২)

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তৎসম উপসর্গ ২০টি, যথা: অতি, অধি, অনু, অপ, অপি, অব, অভি, আ, উপ, উত্‌, দুর্‌, নি নির্‌/নির, পরা, পরি, প্র, প্রতি, বি, সু ও সম্‌।

বিষ্ণু দে (১৮ জুলাই ১৯০৯ - ৩ ডিসেম্বর ১৯৮২) একজন বিখ্যাত বাঙালি কবি লেখক এবং চলচ্চিত্র সমালোচক। তিনি ১৯৭১ সালে তার স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ বইটির জন্য ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার জ্ঞানপীঠ লাভ করেন।

মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (১১ জুলাই ১৯৩৬ – ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯) যিনি আল মাহমুদ নামে অধিক পরিচিত, ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক ছিলেন।

এখানে

বিশেষ্যের সাথে বিশেষণের সমাসকে কর্মধারয় সমাস বলে। মুজিববর্ষ এর ব্যাসবাক্য মুজিবের স্মরণে যে বর্ষ। মধ্যপদলোপী কর্মধারয়।

মাত্রাহীন বর্ণ ১০ টি ( স্বরবর্ণ ৪ টি - এ, ঐ, ও, ঔ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ ৬ টি - ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ)।

তুর্কি ভাষার শব্দ: বাবা, উজবুক, কোর্মা, তুরুক, তোশক, বন্দুক, বাইজি (মূলশব্দ বাজি), বারুদ, বেগম, সওগাত, তোপ, কাবু, তক্‌মা, কাঁচি, খাতুন, খাঁ, বিবি, মুচলেকা, আলখেল্লা, চাকু, লাশ, ঠাকুর, উর্দি, উর্দু, কুলি, কুর্ণিশ, খোকা, বাবুর্চি ইত্যাদি।

ষড়ঋতু দ্বারা ছয়টি ঋতুকেই বুঝানো হয় অর্থাৎ পরপদ প্রধান মানে দ্বিগু।